নওয়াজের ফিরে আসা ও পাকিস্তানের রাজনীতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:১৬

লন্ডনে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সাধারণ নির্বাচনের তিন মাস আগে দেশে ফিরেছেন। দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে সাত বছরের কারাদণ্ড হয় তার। অসুস্থতার কারণে নওয়াজ শরিফ জামিন নিয়ে ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে যান। তবে শর্ত ছিল- তিনি সুস্থ হলেই ফিরে যাবেন পাকিস্তানে। কিন্তু পরে তিনি আর পাকিস্তানে ফিরে যাননি।
পাকিস্তান মুসলিম লীগের ৭৩ বছর বয়সী এই নেতা বরাবরই বলে আসছেন, তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ মিথ্যা। তড়িঘড়ি করে তার বিচার শুরু করা, দোষী সাব্যস্ত করা ও কারারুদ্ধ করা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ হিসেবে বিবেচিত নওয়াজ শরিফ কখনো তার কোনো মেয়াদ শেষ করেননি। ১৯৯৩ সালে দুর্নীতির দায়ে তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং ১৯৯৭ সালে তিনি এই পদে ফিরে আসেন। মাত্র দুই বছর পর দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর নির্দেশে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
তবে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসলামাবাদের হাইকোর্ট নওয়াজ শরিফকে সুরক্ষামূলক জামিন দেয়। এই জামিনের অর্থ হলো, বিচারকদের সামনে হাজির হওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করতে পারবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে নওয়াজ শরিফকে গ্রেপ্তারের হুমকি নেই এবং শনিবার (২২ অক্টোবর) তার রাজনৈতিক কেন্দ্র লাহোরে একটি স্বাগত সমাবেশ করার পথ সুগম হয়েছে।
নওয়াজ শরিফ পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা সরকারি পদে থাকতে পারবেন না। যদিও তার দল বলেছে, তিনি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চান।
নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে তিনি যাতে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন, সেজন্য দুর্নীতির সাজা বাতিলের চেষ্টা করবেন।
নওয়াজ শরিফ তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খানের ভোটারদের নিজের অনুকূলে ফিরিয়ে আনতে চান। ইমরান এখন দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
নওয়াজ শরিফের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে পাল্টে দেবে বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হচ্ছে। পিএমএল-এন পার্টির আইনপ্রণেতা মাইজা হামিদ বলেন, এটি একটি বিশাল মুহূর্ত এবং বড় অগ্রগতি। ফিরে আসার পর নওয়াজকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে আদালত জানিয়েছে। শনিবার লাহোরে এক সমাবেশে সরাসরি ভাষণ দেবেন তিনি।
তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে