ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৪০

রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত নতুন কাঠামোর অংশ হিসেবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে বলে সিএনএন’কে জানিয়েছে বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চল ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া এবং সেখান থেকেই দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েনের শুরু। এরপর ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণের মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনের আরও চারটি অঞ্চল — পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া — আংশিকভাবে দখল করে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে ইউক্রেন এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো প্রস্তাব কিয়েভ গ্রহণ করবে না। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, কোনো দখলকৃত ভূখণ্ডকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া তাদের জন্য ‘লাল রেখা’।
তিনি বলেন, এই ভূখণ্ডগুলোর বিষয়টি সম্ভবত শান্তি আলোচনায় সবচেয়ে সংবেদনশীল ও কঠিন ইস্যুগুলোর একটি। আমাদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট সীমারেখা— দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে আমরা স্বীকৃতি দেবো না।
সিএনএন’কে দেওয়া সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত কাঠামোতে যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান সীমারেখা ধরে একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও রয়েছে। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউরোপীয় ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে ওই কাঠামো শেয়ার করা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে। একইসঙ্গে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে এক টেলিফোন আলাপেও বিষয়টি রাশিয়াকে জানানো হয়।
যদিও ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন, তিনি একদিনেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন, বাস্তবে মার্কিন শান্তি প্রচেষ্টা রাশিয়ার অনমনীয় অবস্থানের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অচল হয়ে পড়েছে। হোয়াইট হাউজেও এ নিয়ে হতাশা বাড়ছে।
গত শুক্রবার রুবিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শান্তি প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দিনের মধ্যেই উদ্যোগ থেকে পিছিয়ে আসতে পারে। যদিও ট্রাম্প পরে কিছুটা নরম ভাষায় বলেন, রুবিও ঠিকই বলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সমঝোতা সম্ভব হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই, তবে আমরা এটি দ্রুতই শেষ করতে চাই।