দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুকে বরখাস্ত করেছে দেশটির সরকার। তবে তাকে বরখাস্তের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
এ বছরের মার্চে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান লি। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাস পরই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। আর এ তদন্ত করছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রভাবশালী ডিসিপ্লিনারি ইনসপেকশন কমিশন। চীনের সামরিক বাহিনীর ‘সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের’ যে ইউনিট আছে- ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সেই ইউনিটের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন লি।আর সেই সময় সেখানে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিল।
তবে কি সেই দুর্নীতির কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। তার কোনো উত্তরসূরীর নামও ঘোষণা করা হয়নি।
লিকে ২৯ আগস্ট সর্বশেষবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল। ওই দিন বেইজিংয়ে একটি নিরাপত্তা ফোরামে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ১৫ আগস্ট রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ১৬ আগস্ট বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
এর আগে চলতি বছরের জুনে দেশটির তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কিন গ্যাংকে প্রায় এক মাস ধরে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরপর হুট করে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কিন গ্যাংকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।