গাজায় ইসরায়েল বিমান হামলা ও স্থল হামলা জোরদার করায় শনিবার মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শত শত মানুষ। আর্জেন্স প্যালেস্টাইন নামে পরিচিত ওই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানানো হয়। ফ্রান্সে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ নিষিদ্ধ হওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তারা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ফরাসি পুলিশ। এর আগে ফ্রান্সের মার্সেই ও স্ট্রাসবার্গে শহরে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ফ্রান্সে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ নিষিদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিনের আদেশ দেশটির সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ স্থগিত করেছে। কাউন্সিল অব স্টেট রায় দিয়েছে, যুদ্ধে উভয় পক্ষের পক্ষে যে কোনও প্রতিবাদ জনসাধারণের শৃঙ্খলার ঝুঁকির মূল্যায়ন করার পরে কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে অনুমোদিত হতে হবে।
ইউরোপে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, ইতালির রোম এবং সুইডেনের স্টকহোমেও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মানুষ।
নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে এবং ফিলিস্তিন মুক্ত কর লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মালয়েশিয়ায় দলে দলে মানুষ স্লোগান দিয়ে কুয়ালালামপুরে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেছে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে ইরাকিরা। ওদিকে, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা শনিবার বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের সমর্থনে লন্ডন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ডেও বিক্ষোভ মিছিল করেছে হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পরবর্তী ধাপের যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দেয়। শুক্রবার রাতে ভারী বোমা হামলা ও আর্টিলারি হামলার মাধ্যমে গাজা উপত্যকায় প্রায় সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর শনিবার থেকে স্থল হামলার জোরদার করেছে ইসরায়েল। গাজার বাসিন্দারা স্থল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে ব্যাপক বোমাবর্ষণকে ৩ সপ্তাহের ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সবচেয়ে তীব্র বলে বর্ণনা করেছেন।