যুদ্ধবিরতি আলোচনা চালু করতে মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ মে ২০২৫, ১২:৩৭

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলি-মার্কিন জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বধীনতাকামী সংগঠন আন্দোলন হামাস। খবর বিবিসি, আলজাজিরার
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আলোচনা পুনরায় চালু করতে এবং গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণের কাছে সাহায্য ও ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছানোর অংশ হিসেবে মার্কিন ইসরায়েলি সৈনিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হবে।’
গত ৭০ দিন ধরে গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানিসহ সব সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে ইসরাইল।
তবে হামাসের বিবৃতিতে ২১ বছর বয়সী আলেকজান্ডারকে কখন মুক্তি দেওয়া হবে তা উল্লেখ করা হয়নি, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ইসরায়েল সফর করবেন।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি কাতারে মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছে। কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছে এবং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং মানবিক সাহায্য প্রবেশকে সহজতর করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।
তেল আবিবে জন্মগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বেড়ে ওঠা আলেকজান্ডার গাজার সীমান্তে একটি অভিজাত পদাতিক ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস তাকে ধরে নিয়ে যায়।
ইসরায়েলের সঙ্গে আর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মঙ্গলবার (৬ মে) গোষ্ঠীটির এক সিনিয়র কর্মকর্তা এমনটা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের ‘ক্ষুধার যুদ্ধ’ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফিলিস্তিনের গাজায় আরও আগ্রাসী পদক্ষেপের দিকে যাচ্ছে ইসরায়েল। হাজারো সংরক্ষিত সেনা তলব করে শুরু হয়েছে বড় অভিযানের প্রস্তুতি। এ নিয়ে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
জিম্মিদের মুক্তির অজুহাতে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর নারকীয় তাণ্ডব চালানোর পর এবার ভিন্ন কথা বলছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি নয়, যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য হামাসকে পরাজিত করা।