যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৬ মে ২০২৫, ২৩:২০

একটি ড্রোন দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে, গাজা শহরে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময়, ইসরায়েলি অভিযানে ধ্বংস হওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের পাশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাবুতে অবস্থান করছেন। - রয়টার্স
গাজায় চলমান যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নতুন প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সোমবার (২৬ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স হামাসের এক শীর্ষ নেতার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকোফের মাধ্যমে উত্থাপন করা হয়েছে। এতে ৭০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে, যার আওতায় হামাস দুই ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল আংশিকভাবে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।
একইসঙ্গে ইসরায়েলি কারাগারে আটক বহু ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে প্রস্তাবটিতে। চুক্তির আওতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরদিন থেকেই গাজায় শর্তহীন ত্রাণ সরবরাহ শুরুর কথা বলা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির খসড়া ইসরায়েলি সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং ট্রাম্প নিজে যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টি দেবেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
তবে ইসরায়েলি পত্রিকা টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর সরকার ইতোমধ্যে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এমন প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় এবং তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে এগোতে চায় না।
এ বিষয়ে ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকোফ মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে বলেন, ‘ইসরায়েল এমন একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়, যেখানে জীবিত ও মৃত অর্ধেক জিম্মি মুক্তি পাবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানে যাওয়া যাবে। এ পরিকল্পনার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। হামাসের উচিত এই প্রস্তাব মেনে নেওয়া।’
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইসরায়েলি সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কূটনৈতিক মহলে আলোচনার গুরুত্ব বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।