সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মীদের এক বড় অংশ মনে করছেন, তাদের বেতন এখন আর জীবনযাত্রার খরচের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জন কর্মীর মধ্যে প্রায় ৭ জন এই আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন এবং অনেকেই আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চাকরি ছাড়ার কথা ভাবছেন। বিশ্বখ্যাত পরামর্শ সংস্থা কর্ন ফেরি জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬৬ শতাংশ কর্মী মনে করছেন তাদের বেতন প্রয়োজনের তুলনায় কম। বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া ও সন্তানের শিক্ষার খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে কর্মীরা নতুন চাকরির সন্ধানে বেতনের পাশাপাশি বাড়তি সুবিধা, কাজের নিরাপত্তা ও ক্যারিয়ারে উন্নতির সুযোগকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কর্ন ফেরির ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার আঞ্চলিক প্রধান বিজয় গান্ধী জানান, বেতন কাঠামো এখন আর একমাত্র বিষয় নয়। কর্মীরা চাইছেন আরো স্থিতিশীলতা ও সমর্থন।
২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৮৪৩টি প্রতিষ্ঠানে চালানো জরিপে দেখা গেছে, গড় বেতন বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ।
অথচ জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি বেড়েছে। অন্য একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ৪৮ শতাংশ কর্মী কিছুটা বেতন বাড়তি পেয়েছেন। তবে ৭৫ শতাংশ কর্মী ২০২৫ সালে আরো বেশি বেতন বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছেন। বেশিরভাগ কর্মীর বেতন বৃদ্ধি ২.৫% থেকে ৫% এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আমিরাতে ২০২৫ সালের মধ্যে জনসংখ্যার ৮৮.৫ শতাংশই হবে প্রবাসী। এই বৈচিত্র্যময় ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ শ্রমবাজারে টিকে থাকতে হলে শুধু বেতন নয়, চাকরির নিরাপত্তা ও পেশাগত উন্নতির দিকেও নজর দিতে হবে।বাড়তি খরচ ও জীবনের স্থিতিশীলতা এখন কর্মীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বের ১৫,০০০ চাকরিজীবীদের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পদের কর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
সূত্র : খালিজ টাইমস