ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে। সেইসঙ্গে ইসরায়েল সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি।
এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৯ হাজারের বেশি। আহত হয়েছে অন্তত ২০ হাজার।
এরই মধ্যে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে আরব দেশগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করছে, যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে এবং আবারও ৭ অক্টোবরের মতো হামলা চালাতে পারে সংগঠনটি। এজন্যই যুক্তরাষ্ট্র এখন গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি চায় না। তবে দেশটি যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরায়েল সফরের পর গতকাল শনিবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে লেবানন, কাতার, জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েন ব্লিংকেন।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, মানুষ হিসেবে আমরা এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারি না। ...এই হত্যাকাণ্ড আর ধ্বংসযজ্ঞকে আমরা কীভাবে ন্যায্য বলে মেনে নিতে পারি? এটা কোনো আত্মরক্ষা হতে পারে না। সাফাদি সতর্ক করে বলেন, কোনো অজুহাতে এই হামলাকে ন্যায়সঙ্গত করা যাবে না এবং এটি ইসরায়েলে নিরাপত্তা আনবে না, ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে না।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি গাজায় কোনো শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিমুখী আচরণ থেকে সরে আসতে বলেন।
তবে ব্লিংকেন যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তার মতে, এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জনের বিষয়ে আরব নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত না হলেও তাদের লক্ষ্য একই।