দীর্ঘ এক মাসের আগ্রাসনে শেষ হয়ে যাচ্ছে গাজা। উপত্যকার কোনো একটি এলাকা কার্যত অক্ষত নেই।
লাশের সারির পাশাপাশি আহতদের লম্বা তালিকা- অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অঞ্চলটি।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে আহত ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় থাকা হাসপাতালগুলো অবস্থাও করুণ। বহু হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে যুদ্ধে কারণে। ইসরায়েলিরা আরও হাসপাতাল খালি করে দিতে বলছে।
যারা যুদ্ধ বা হুমকি উপেক্ষা করে হাসপাতাল চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের অবস্থাও বেগতিক। বাধ্য হয়ে তাদের হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিতে হচ্ছে কারণ, জ্বালানি নেই।
ইসরায়েলিরা গাজার পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ প্রয়োজনীয় সব পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার পর জ্বালানি দিয়ে হাসপাতালগুলো কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। কিন্তু দিনে দিনে এসব জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। ত্রাণ হিসেবে যতটুকু পাওয়া যায়, তাও নগণ্য। এ অবস্থায় গাজা উপত্যকাকে একাকী ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ।
তিনি বলেন, গাজাকে একটি অভূতপূর্ব মানবিক সংকট মোকাবিলায় ‘একা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’। কারণ, ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১৬টি পরিষেবার বাইরে। বাকিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির জ্বালানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই গাজায় জ্বালানিসহ অবিরাম মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
পিআরসিএস গাজার আল-কুদস হাসপাতালটি সরাসরি পরিচালনা করে। সংস্থাটি জানায়, এ হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। জ্বালানির গুরুতর সংকট রয়েছে। তারপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। গাজার উত্তরে কোনো সহায়তা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অল্প কিছু সহায়তা দক্ষিণে পৌঁছেছে।
৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় জ্বালানি প্রবেশের বিরোধিতা করে আসছে ইসরায়েল। অথচ, বর্তমান পরিস্থিতিতে গাজার হাসপাতালের জেনারেটর, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য সহায়তার জন্য পেট্রোল-ডিজেলই বেশি প্রয়োজন।
পিআরসিএস মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ বলেন, জ্বালানি মানেই এখন জীবন। কিন্তু আমরা এখন পুরো গাজার সব হাসপাতাল বন্ধ হওয়া থেকে কয়েক ঘণ্টা দূরে আছি।