চীন-নেপাল সীমান্তে ভয়াবহ বন্যা, ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১০ জুলাই ২০২৫, ২৩:২৯

ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের পর নেপাল-চীন সীমান্ত অঞ্চল থেকে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া আকস্মিক বন্যায় ভেঙে গেছে দুই দেশকে সংযোগকারী ‘মৈত্রী সেতু’। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই পুরো অঞ্চল।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আকস্মিক বন্যায় ভোতেকোশি নদীতে চীন ও নেপালকে সংযুক্তকারী ‘ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ’ ভেঙে পড়েছে। সীমান্তের কাছে হিমবাহ হ্রদের হঠাৎ বিস্ফোরণ থেকেই আকস্মিক বন্যা দেখো দিয়েছে বলে ধারণা আবহাওয়া বিভাগের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় প্রায় ১৯ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩ জন নেপালি ও ৬ জন চীনা নাগরিক। এছাড়া ভূমিধসের কারণে আটকা পড়েছেন বহু পর্যটক। তাদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে নেপালের সেনাবাহিনী।
জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিআরেমএ) জানিয়েছে, নেপালে নিখোঁজদের মধ্যে ৬ জন চীনা কর্মী ও তিনজন পুলিশ সসদ্য রয়েছেন। বন্যায় আটটি বৈদ্যুতিক গাড়ি ভেসে গেছে ও একটি ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিখোঁজ চীনা নাগরিকরা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তরে চীনা সহায়তায় নির্মিত অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করছিলেন। চীন থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী কিছু কন্টেইনারও ভেসে গেছে পানির স্রোতে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, সীমান্তে অবস্থিত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানিবন্দি বহু মানুষ। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি।
নেপালের চীন সীমান্তবর্তী জেলা রাসুয়া’র জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা অর্জুন পাওদেল জানিয়েছে, বন্যায় এরই মধ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি এবং ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছি।

সূত্র: ইউএনবি