ইরাকের বাবিল ও আনবার শহরে মার্কিন বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্যরা। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ইরাকি আইনপ্রণেতারা সংসদে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত আগ্রাসন ইরাকের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ওয়াশিংটনের আন্তর্জাতিক চুক্তির অসম্মান।’
আইনপ্রণেতারা ইরাকের সরকারকে ‘ইরাক থেকে বিদেশি বাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের জন্য সংসদীয় সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ তাদের উপস্থিতি নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং ইরাকি জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’
ইরাক সরকার এর আগে মার্কিন বিমান হামলাকে ‘ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছিল।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি), মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য ইরান-সম্পর্কিত গোষ্ঠীগুলোর তিনটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই নির্ভুল হামলাগুলো ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে ইরানের মদদপুষ্ট মিলিশিয়াদের ক্রমবর্ধমান আক্রমণের প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া হিসেবে চালানো হয়েছে।’
আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন সেনাদের ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’ নামক একটি গোষ্ঠী। ইরাকে পরিচালিত বেশ কয়েকটি ইরান-অনুষঙ্গী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে অন্যান্য হামলারও দায় স্বীকার করেছে।
গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেওয়ায় ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণে মুখে পড়েছে। ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠীর আক্রমণও অব্যাহত রয়েছে।