গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজন বিরাজ করছিল। এই ইস্যুতে আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ক্রেমলিন।
কিন্তু সব আহ্বান উপেক্ষা করে এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরান শনিবার রাতে ইসরায়েলে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস’ এর অংশ হিসেবে নজিরবিহীন হামলা চালায়। হামলার সময় ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ছিল ড্রোন। যদিও আইডিএফের দাবি, তারা ‘প্রায় সবগুলো’ হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এই চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া। ১৪ এপ্রিল (রবিবার) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল আরাবিয়া জানিয়েছে, মার্শাল শাপোশনিকভ নামে রাশিয়ার ফ্রিগেটটি মিশরের সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে। এই ফ্রিগেট কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল দিয়ে সজ্জিত।
তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিকল্পিত নৌ মহড়ার অংশ হিসাবেই কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল সজ্জিত রাশিয়ান নৌবাহিনীর ফ্রিগেটটি ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মার্শাল শাপোশনিকভ তার ওপর অর্পিত কাজগুলি সম্পাদন করে যাবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এর বাইরে আর বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি।
কুয়েত-কাতারের মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরানের ওপর হামলা নিষিদ্ধ
এদিকে, কুয়েত ও কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং দেশ দুটির আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া চলবে না। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির জেরে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত ও কাতারের সরকার। বিষয়টি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েও দিয়েছে তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভি এবং রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
৩