ইরানে পাল্টা হামলা ইসরাইয়েলের

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক বিশ্ববাসীর

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৯

বিশ্বনেতাদের আহ্বানকে উপেক্ষা করে ইরানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। আগে থেকেই ইরান সতর্ক করেছে। বলেছে, ইরানের মাটিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হামলা চালানো হলে তার পরিণতিতে ভয়াবহ ও কঠোর জবাব দেবে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি, সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আবদুল রহিম মুসাভিসহ শীর্ষ নেতারা এমন সতর্কতা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পাল্টা জবাব দেবে ইরান। এ জন্য ইরানের সেনাবাহিনী প্রস্তুত। ফলে এই হামলা-পাল্টা হামলাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সমূহ আশঙ্কাকে মাথায় রেখেই বিশ্বনেতারা, জাতিসংঘ সতর্ক করেছে ইসরাইলকে। কিন্তু উগ্র ইসরাইল কারো কথায় কান না দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এখন আতঙ্কের বিষয়, ইরান এর কি জবাব দেয় বা কিভাবে দেয় সেটা। এরই মধ্যে হামলার খবর প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববাজারে তেল ও স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
পতন হয়েছে শেয়ারের মূল্য। সবাই সতর্ক ও আতঙ্কিত। কেউ বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। কারণ, ইসরাইল ও ইরান শুধু দুটি দেশই নয়। তাদের মিত্ররাও বর্তমান বিশ্বে রাজনৈতিক মেরুকরণ করা। ইসরাইল-ইরান পাল্টাপাল্টি হামলা হলে তাতে জড়িয়ে যাবে এই বিপরীত মেরুর রাজনৈতিক পক্ষ। ফলে পরিস্থিতিকে ভঙ্গুর ও উত্তেজনাকর বলে বর্ণনা করছেন আল জাজিরার সাংবাদিক ডোরসা জব্বারি। তিনি বলছেন, সবচেয়ে উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করছে। ডোরসা জব্বারি আরও বলছেন, ইরানের মিডিয়া এই হামলাকে ছোট করে দেখছে। তারা বলছে, তিনটি ছোট আকারের উড়ন্ত অজ্ঞাত বস্তুকে স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় ইসফাহানের আকাশে দেখা গেছে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা শনাক্ত করে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই স্থানটি হলো ইসফাহান প্রদেশে ইরানের একটি সামরিক বিমানঘাঁটি বরাবর। সেটা দেশটির সেনাবাহিনী ব্যবহার করে, রেভ্যুলুশনারি গার্ড ব্যবহার করে না। এই ঘাঁটিতে আছে এফ-১৪ টোমক্যাট যুদ্ধবিমানের অনেক সংগ্রহ। এই স্থাপনাটি ইসফাহান বিমানবন্দরের কাছেই। এসব ঘটনার পর ইরানের আকাশসীমাকে পরিষ্কার ও নিরাপদ করেছেন কর্মকর্তারা। তবে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করা হয়েছে।
ওদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে উদ্ধৃত করে ইসরাইলের হারেৎজ পত্রিকা বলছে, ইরানের তিনজন কর্মকর্তা বলেছেন- ইসফাহানের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তবে তেহরানের কর্মকর্তারা এ খবরকে মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলেছেন, ইসফাহানে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইরানে হামলার রিপোর্ট হলো ইসরাইল ও আমেরিকান মিডিয়ার প্রচারণা ছাড়া কিছু নয়। এ ছাড়া ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল জরুরি বৈঠক তলব করেছে মর্মে যে খবর বেরিয়েছে, তাও প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। রাষ্ট্রীয় টিভি বলেছে, শহরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এর বাইরে যেসব রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে তা ভুয়া।