এবার আমেরিকা-ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ইরানের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৪ মে ২০২৪, ১১:৫৯
(বাঁ থেকে) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইরানি প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি

আমেরিকা ও ব্রিটেনের বিরুদ্ধে এবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তেহরান। ২ মে (বৃহস্পতিবার) এ ঘোষণা আসে। গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে, তাতে মদদ দিচ্ছে এই দুটি দেশ। আর শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে উপসাগরীয় দেশ ইরান।
অভিযোগ রয়েছে—তেহরানের অস্ত্র আর প্রশিক্ষণ পেয়েই ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীরা। সেই সব যোদ্ধাদের নির্মূলের নামে গাজায় নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব।
যার বলি হতে হয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে। ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির এমন অপরাধকে অন্ধভাবে সমর্থন করে আসছে লন্ডন ও ওয়াশিংটন। ফলে দেশ দুটির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে গেল ইরান।
বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। বিশ্লেষকরা বলছেন, কূটনৈতিকভাবে দেশ দুটিকে অপমান করতেই ইরানের এমন চতুর কৌশল। এর মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞাকেই হাস্যকর জিনিষে রূপান্তর করতে চাইছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী এই দেশটি।
ইসরাইলের চিরশত্রু ইরান তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের নামে গাজার নিরীহ মানুষের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে তেল আবিব। মানবতাবিরোধী এই অপরাধকে নির্লজ্জভাবে সমর্থন করায় কিছু ব্রিটিশ ও মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়— আমেরিকার বিশেষ অপারেশন কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ব্রায়ান পি ফেন্টন ও মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সাবেক কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপারসহ সাতজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি অব স্টেট গ্রান্ট শাপস, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত কমান্ডের কমান্ডার জেমস হকেনহুল ও লোহিত সাগরে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভিকে নিষেধাজ্ঞা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন ও শেভরন এবং ব্রিটিশ সমকক্ষ এলবিট সিস্টেমস, পার্কার মেগিট ও রাফায়েল ইউকের বিরুদ্ধেও শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে ‘ইরানের আর্থিক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অ্যাকাউন্ট ও লেনদেন ব্লক, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের এখতিয়ারের মধ্যে সম্পদ ব্লক এবং সেই সঙ্গে ভিসা প্রদান ও ইরানের ভূখণ্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা। কিন্তু ব্যক্তি বা সংস্থার ওপর এ পদক্ষেপগুলোর প্রভাব, সেইসঙ্গে তাদের সম্পদ বা ইরানের সঙ্গে লেনদেন। সব কিছু অস্পষ্ট রয়ে গেছে।