অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নির্বিচার গণহত্যা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেছিল। সেই ক্ষোভের আগুন এখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিশ^বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রতিবাদী শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থানে বহু ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। অনেক ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার ও সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। খবর আল জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অনুসরণ করে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, সুইডেন, অস্ট্রিয়াসহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। গতকাল বুধবার আমস্টারডাম বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি এলাকা দখল করে নিয়েছে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এর আগে রাজধানীতে বিক্ষোভকারীদের তাঁবু গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ। এর পরদিনই ক্যাম্পাস এলাকা দখলে নেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পুলিশ বলছে, বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ থামানোর কোনো নির্দেশ দেয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে দাঙ্গা পুলিশ বুলডোজার দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেড ভেঙে দেয়। গতকাল অবরোধের কারণে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
কয়েকটি স্থান বন্ধ রাখবে বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে জার্মানির লাইপজিগের প্রধান বিশ^বিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লাইপজিগের একটি লেকচার হল দখল করে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা ‘গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ^বিদ্যালয় দখল’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। ফ্রান্সেরও একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কর্তৃপক্ষের সই করা সব চুক্তি বাতিলের দাবিতে অনশন ধর্মঘট শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। একই দাবিতে সুইজারল্যান্ডের তিনটি বিশ^বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভে যোগ দেয়। কলাম্বিয়া বিশ^বিদ্যালয়ের আসন্ন ¯œাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। গত সোমবার ক্যাম্পাসে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেশ শতাধিক বিশ^বিদ্যালয় ও কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। চলমান আন্দোলন দমনে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বাইডেন প্রশাসন। ইতোমধ্যে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। ইসরায়েলকে আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর চাপ প্রয়োগ না করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।