ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সদ্যই ইসরায়েলে মার্কিন বোমার একটি চালান স্থগিত করার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই ঘোষণার দুদিন যেতে না যেতেই জানা গেলো, আরও কোটি কোটি ডলারের মার্কিন অস্ত্র পেতে যাচ্ছে ইসরায়েল। সেগুলোর এখন শুধু চালানের অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগে, দেশটির জন্য নির্ধারিত অস্ত্রের চালানগুলো পর্যালোচনার কথা বলেছিল মার্কিন প্রশাসন। তবে এই চালান কবে নাগাদ ইসরায়েলের কাছে পৌঁছাবে সে তথ্য জানা যায়নি। শুক্রবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো অস্ত্র রাফাহ শহরের ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। সেখানে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। তাই এমন উদ্বেগের মধ্যে ইসরায়েলকে অস্ত্রের চালান সরবরাহের বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছে মার্কিন প্রশাসন। ফলস্বরূপ প্রাথমিকভাবে মার্কিন বোমার একটি চালান স্থগিত করেছে দেশটি।
বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে রাফাহ শহরে হামলার পরিকল্পনা বাতিলের জন্য ইসরায়েলকে বারবার চাপ দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন।
বিলম্বিত হওয়া এই বোমা চালানের মূল্য ‘কোটি কোটি’ ডলারের বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান সিনেটর জিম রিশ বলেছেন, বিলম্বিত এই চালানে জয়েন্ট ডিরেনক্ট অ্যাটাক মিউনিশন-সহ (জেডিএএমএস)এবং ট্যাংক রাউন্ড, মর্টার এবং সাঁজোয়া কৌশলগত যানবাহন রয়েছে। সেগুলোসহ ইসরায়েলের জন্য অন্যান্য আরও সামরিক সরঞ্জামের বড় বড় চালান আটকে রাখা হয়েছে।
রিশ বলেছেন, এই যুদ্ধাস্ত্রগুলো যত দ্রুত অনুমোদনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া উচিত ছিল তা ততটা অগ্রসর হতে পারছে না। কেননা, ইসরায়েলের জন্য সহায়তার বিষয়টি সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পর্যালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই চালানের কিছু কাজ ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলে অতিরিক্ত অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন তারা।
এর আগে,মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর একটি সাক্ষাৎকারে বাইডেন সতর্ক করে বলেছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহতে হামলা করলে মার্কিন অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।