রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক-জ্বালানি সহযোগিতা কমানোর ‘আত্মঘাতী’ পদক্ষেপের দিকে ইউরোপকে ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে ইউরোপের গ্যাস সরবরাহ সংকট বাড়ছে। তাই সর্বোপরি ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী বলে দাবি করেছেন রাশিয়া।
মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনে অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমাদেশগুলো। এর পরই রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমালে ইউরোপে জ্বালানির দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে মেরামত কাজের কথা বলে ৩১ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন দিয়ে জার্মানিতে গ্যাস প্রবাহ স্থগিত রাখার কথা জানায় রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। তবে সেই সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও পুনরায় সরবরাহ শুরু করতে মস্কোর কালক্ষেপণের ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়।
গ্যাজপ্রমের দাবি, গ্যাস পাইপলাইন নর্ডস্ট্রিম-১ এ নতুন একটি লিকেজ দেখা দেওয়ায় সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কবে পুনরায় লাইনটি চালু হবে তা বলা হয়নি।
পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, পাইপলাইন মেরামতের কথা বলে জ্বালানি সংকট নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে। একইসঙ্গে আসন্ন শীতে ইউরোপের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে অঞ্চলটির সঙ্গে সহযোগিতার কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা রয়টার্সকে বলেন, আপনি আমাকে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন যার উত্তর এমনকি শিশুরাও জানে। যারা এটি শুরু করেছে তাদেরই এটি শেষ করতে হবে।
মারিয়া জাখারোভা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি খাতে রাশিয়া ও জার্মানির মতো প্রধান ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। অথচ সোভিয়েত আমল থেকেই মস্কো জ্বালানির জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত।