লেবাননে মার্কিন দূতাবাসে বন্দুক হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৭ জুন ২০২৪, ০০:২৯

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দূতাবাসের কেউ হতাহত হননি। এ ঘটনায় এক বন্দুকধারীকে আটক করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক আগ্রাসন ও গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে বুধবার (৫ জুন) সকালে লেবাননে মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন মতে, দূতাবাসে হামলা চালায় এক সিরীয় বন্দুকধারী। দূতাবাসে মোতায়েন সেনারা পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকধারী আহত হয়। এরপর তাকে আটক করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। লেবাননের সেনা কমান্ডের এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পৃথক এক বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাস ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে দূতাবাসের প্রবেশপথের কাছে ‘হালকা অস্ত্রের’ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী (এলএএফ), আইএসএফ (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী) এবং আমাদের দূতাবাসের নিরাপত্তা দলের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ, আমাদের দূতাবাস এবং এর কর্মীদল নিরাপদে রয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি চলে। এতে দূতাবাসের নিরাপত্তা দলের একজন সদস্য আহত হন। হামলায় একাধিক ব্যক্তি ছিল। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনারা। লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রগুলোও ইঙ্গিত দিয়েছে, আটক হামলাকারী হয়তো একাকী হামলা চালায়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্তত চারজন বন্দুকধারী হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল।
লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, তিনি সেনা কমান্ডার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
দূতাবাসটি বৈরুতের উত্তরে একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে প্রবেশের পথে একাধিক চেকপয়েন্ট রয়েছে। ১৯৮৩ সালে একটি আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে, যাতে ৬৩ জন নিহত হয়। এরপর দূতাবাসটি বর্তমান জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন ও গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।