ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর গাজা সিটির দুই জেলায় ৬০ মৃতদেহ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক  ডেস্ক
  ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪০

গাজা সিটির দুটি জেলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রায় ৬০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি সেনারা আক্রমণ শেষ করার পর হামাস পরিচালিত গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, তাল আল-হাওয়া ও আল-সিনা জেলায় মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে। সংস্থাটি ও বাসিন্দারা বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে কয়েক দিনের লড়াইয়ের পর সেখান থেকে চলে গেছে।

তবে সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এটি নিশ্চিত করেনি।
বাসাল বলেন, ‘গাজার সিভিল ডিফেন্সের দলগুলো বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে। তারা কয়েক ডজন মৃতদেহ পেয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই পরিবার, নারী ও শিশু।কিছু মৃতদেহ কুকুর খেয়েছে।’
 তিনি আরো বলেন, ‘কমপক্ষে ৬০টি মৃতদেহ গণনা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের লাশ দাফন করা হয়। অন্যদের কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক লাশ রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং উদ্ধার তৎপরতা নিয়মিত ব্যাহত হচ্ছে।’
সোমবার বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী এই সপ্তাহে আবার তাল আল-হাওয়ায় প্রবেশ করেছে। বাসিন্দারা নতুন করে ব্যাপক ধ্বংসের কথা জানিয়েছে। ইসরায়েল কার্যত পুরো গাজা সিটি এখন একটি ‘বিপজ্জনক’ যুদ্ধক্ষেত্র বলে সতর্ক করেছে।
বাসাল বলেন, ‘অনেকে সহায়তার চাইছে। কিন্তু আমরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছি না। আমাদের যথেষ্ট ক্রু নেই।’
তিনি আরো জানান, গাজা সিটির শুজাইয়া জেলার কাছে অবস্থিত সাবা মেডিক্যাল সেন্টার নতুন যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি ৬০ হাজার বাসিন্দাকে চিকিৎসাসেবা দিত। এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃতদেহগুলো রোগের বিস্তারকে ত্বরান্বিত করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাতের বেলা ইসরায়েলি বিমান ও বোমা হামলার পর ভূখণ্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩২টি মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর শুজাইয়াতে ৬০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল।