রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

এক নারী সেনা সদস্য ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭

এক অস্ট্রেলিয়ান নারী সেনা এবং তার স্বামীকে রাশিয়ার জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এই দম্পতির উভয়ই রুশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। অভিযোগ উঠেছে, তারা মস্কোকে অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের (এডিএফ) তথ্য-উপাত্ত পাচার করেছে। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক প্রবর্তিত কঠোর বিদেশি হস্তক্ষেপ আইনের অধীনে প্রথমবারের মতো এই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ বলছে, কী ধরনের তথ্য পাচার করা হয়েছে তা এখনো বের করা যায়নি। ৪০ বছর বয়সী সেনা কিরা কোরোলেভ এবং তার ৬২ বছর বয়সী স্বামী ইগর কোরোলেভ আজ শুক্রবার ব্রিসবেনে আদালতের মুখোমুখি হবেন। এই আইনের অধীনে গুপ্তচরবৃত্তি প্রমাণিত হলে উভয়ের সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। 
ইগর বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজ করেন এবং কিরা সেনাবাহিনীতে একজন তথ্য সিস্টেম প্রযুক্তিবিদ ছিলেন।
পুলিশ বলেছে, এ পদের কারণে তিনি  নিরাপত্তা ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। 
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) কমিশনার রিস কেরস বলেন,  এই অভিযুক্ত দম্পতি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন এবং বেশ কয়েক বছর আগে দুজনই অস্ট্রেরিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন, তাকে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বিস্তারিত সব জানিয়েছে। তবে মামলাটি আদালত বিচারাধীন থাকায়, এ নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করবেন না।

কমিশনার কেরস অভিযোগ করেছেন, কিরা এডিএফ থেকে ছুটিতে থাকাকালীন গোপনে রাশিয়ায ভ্রমণ করেছিলেন। তখন তিনি তার স্বামী ইগরকে তার কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন এবং সেনাবাহিনীর সংবেদনশীল তথ্য-উপাত্ত পাঠানোর জন্য  নির্দেশ দেন। সেগুলো যাতে কিরা রুশ কর্তৃপক্ষের কাছে পাচার করতে পারেন। তবে রুশ কর্তৃপক্ষর কাছে কী ধরনের তথ্য-উপাত্ত পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত এখনো চলছে। কেরস আরো বলেন, ‘অভিযোগে আরো নতুন কিছু তথ্য সংযোগ হতে পারে।
তবে বার্গেস বলেছেন, ‘অনেক দেশ অস্ট্রেলিয়ার গোপনীয়তা চুরি করতে চাইছে, এ বিষয়ে আমাদের নির্বোধ থাকলে চলবে না।’ তিনি বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির চলমান এই হুমকি বাস্তব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনি যদি এই দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করে থাকেন, তাহলে আমরা আপনাকেই খুঁজছি।’ কেরস জোর দিয়ে বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তি এবং দেশে বিদেশি হস্তক্ষেপের কার্যকলাপ শনাক্ত করার অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে।’ 
একটি বিবৃতিতে, এডিএফ বলেছে, তারা সতর্ক অবস্থায় আছে এবং তাদের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সব  নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয় খুব গুরুত্ব সহকারে নিই।