কারাগারে কয়েদি ধারণক্ষমতা শতভাগ পূর্ণ হতে চলেছে যুক্তরাজ্যে। উপায় না দেখে কিছু কয়েদিকে সাজা ভোগ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আজ শুক্রবারই সরকার এই পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, যাদের নির্দিষ্ট মেয়াদের সাজার ৪০ শতাংশ পূর্ণ হয়েছে, তাদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
বর্তমানে আগাম মুক্তির ক্ষেত্রে কারাদণ্ডের ৫০ শতাংশ ভোগ করার পর কারামুক্তি দেওয়া হয়। যৌন ও সহিংসতা সংক্রান্ত গুরুতর অপরাধীরা এর মধ্যে পড়বে না।
কারাগারে অতিরিক্ত ভিড় কমাতে দণ্ড শেষের দুই মাস পর্যন্ত আগে কয়েদিদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে গত মার্চে তৎকালীন কনজারভেটিভ সরকার পরিকল্পনা করছিল। সে সরকারের বিচারমন্ত্রী অ্যালেক্স চাক বলেছিলেন, কিছু বন্দিকে ৪০ শতাংশ সাজা শেষে মুক্তি দেওয়ার এবং নতুন অপরাধীদের কম মেয়াদে সাজা দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল।
তবে সংসদে যথেষ্ট সমর্থন না পাওয়ার আশঙ্কায় বিষয়টি আর অগ্রসর হয়নি।
কারাগারে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণ হিসেবে সদ্যোবিদায়ি বিচারমন্ত্রী চাক বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্বের জেরে জেলে ভিড় বেড়েছে। সদ্য সম্পন্ন নির্বাচনে নিজের আসনে হেরে গেছেন চাক। নিজের দল ক্ষমতায় থাকতে এটি কেন করা হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে চাক বলেন, ‘ভোটে জেতার বিষয়টি দলের বিবেচনায় রাখতে হয়।
’ ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানরত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাঁর দেশের কারাগারের ব্যাপারে বলেন, ‘আমি যা ভেবেছিলাম, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ। অবস্থা দেখে আমি হতবাক হয়েছি।’
যুক্তরাজ্যের কারাগারের প্রশাসকদের সংগঠন প্রিজন গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশন বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই কারাগারগুলোর নতুন বন্দি নেওয়ার সক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে।