মোদির নীতি আয়োগ বৈঠকে ওয়াক আউট করলেন ক্ষুব্ধ মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০০

দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, আমাকে পাঁচ মিনিটও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে আমাকে অপমান করা হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাতজন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বৈঠক বয়কট করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গতকাল সকালে রাইসিনায় হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে তিনি বলেন, অন্য কয়েক জনকে ২০ মিনিটের বেশি বলার সুযোগ দেওয়া হলেও আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। তার আগেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বঞ্চনার মোদির নীতি আয়োগ প্রতিবাদে আমি বৈঠক ছেড়ে চলে এসেছি। এর পরে নীতি আয়োগের আর কোনো বৈঠকে তিনি থাকবেন না বলে জানান।
মমতা জানান, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু ২০ মিনিট বলার সুযোগ পেয়েছেন। তার দাবি, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইও কথা বলায় যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র আমিই বৈঠকে হাজির ছিলাম। কিন্তু বলতে দেওয়া হলো না। আমি আরো কিছু বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই মাইক বন্ধ করে অপমান করা হলো।
নীতি আয়োগের বৈঠকে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন জানিয়ে মমতা বলেন, আমি বলেছি আপনাদের (কেন্দ্রীয় সরকার) কোনো রাজ্য সরকারের প্রতি বৈষম্য করা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার আগেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছিলেন, বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে। বিরোধী রাজ্যগুলোকে বঞ্চনা করা হয়েছে, সেটা মানতে পারছি না। একদিকে ইকনমিক ব্লকেড, পলিটিক্যাল ব্লকেড, এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা, তার চরম নিন্দা করছি।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মমতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, মাইক বন্ধের অভিযোগটি ‘বিপথে চালিত করা হচ্ছে’। তাদের দাবি, মমতা বৈঠকে নিজের কথা বলার সময় পেয়েছিলেন। ‘সময় শেষ’ বলে ঘড়িতে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে সতর্ক করতে কোনো ঘণ্টা পর্যন্ত বাজানো হয়নি।