ইসরায়েল অধিকৃত গোলান উপত্যকায় হামলার জেরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম গতকাল সোমবার বেড়েছে। ফলে গত সপ্তাহে দাম যতটা কমেছিল, গতকাল দাম বাড়ার কারণে তেল উৎপাদনকারীদের সেই ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার জেরে গতকাল সোমবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২০ সেন্ট বা ০.৩ শতাংশ বেড়ে ৮১.৩৩ ডলারে উঠেছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামও ৯ সেন্ট বা ০.১ শতাংশ বেড়ে ৭৭.২৫ ডলারে উঠেছে। গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১.৮ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৩.৭ শতাংশ
কমেছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকেই আশঙ্কা ছিল তেলের দাম আবার শতকের ঘরে উঠে যাবে। কিন্তু চীন ও সামগ্রিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে তেমন চাহিদা না থাকার কারণে তেলের দাম শেষ পর্যন্ত তেমন একটা বাড়েনি। তেলের দাম তেমন একটা না বাড়ার কারণ হিসেবে চীনের চাহিদা কমে যাওয়ার বিষয়টি ছিল মূল অনুঘটক। কারণ বছরের প্রথম ভাগে চীনের জ্বালানি তেল আমদানি ১১ শতাংশ কমেছে। বছরের বাকি সময় চাহিদা কতটা বাড়বে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শঙ্কা আছে। এ পরিস্থিতিতে তেলের দাম খুব একটা বাড়বে না বলেই ধারণা। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিমারা রাশিয়ার তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ব্যাহত হয় তেল সরবরাহ ও উৎপাদন। এর জেরে সে বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম সর্বোচ্চ ১৩৯ মার্কিন ডলারে উঠে যায়। এরপর থেকে অবশ্য জ্বালানি তেলের দাম কমছে।