ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভণ্ড’ বললেন মাস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৫

অন্যায়ভাবে পুলিশিংয়ের অভিযোগ তুলে সদ্য নির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারকে ‘ভণ্ড’ আখ্যা দিয়েছেন এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক।
মাস্কের ক্ষোভ ঝাড়ার আরেকটি কারণ ছিল অনেক আগে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন এমপি’র পোস্ট করা বিতর্কিত বিভিন্ন টুইট।
যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্টে ছুরিকাঘাত করা সন্দেহভাজন ব্যক্তি রাজনৈতিক আশ্রয়দাতা ছিলেন, যার ফলে দেশটিতে দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটে, গত সপ্তাহে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া কোম্পানির ওপর এমন ভুয়া তথ্য ছড়ানোর দায় চাপান স্টারমার। এর পর থেকেই মাস্ক স্টারমারের নিন্দা জানানো শুরু করেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
টুইটার অধিগ্রহণের সময় বাক স্বাধীনতাকে নিজের মূল লক্ষ্য হিসেবে দাবি করেছিলেন মার্কিন এ বিলিয়নেয়ার টাইকুন। পরবর্তীতে এর নাম বদলে এক্স রাখেন তিনি। এদিকে, অনলাইনে সহিংসতা নিয়ে উস্কানি দেওয়া লোকজনকে যুক্তরাজ্যে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে, এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
বার্মিংহামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘টু-টায়ার পুলিশিং’ ব্যবহার করেছে, এর আগে মাস্কের এমন অভিযোগ নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এর প্রতিক্রিয়ায় গেল শুক্রবার স্টারমারকে ‘ভণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মাস্ক।
‘টু-টায়ার পুলিশিং’ বাক্যাংশটি এমন কিছু প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যা মূলত কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হয়ে থাকে।
এক্স-এর মালিক মাস্ক বলেছেন, “কৌতুহুল থেকে জিজ্ঞেস করছি, এটা কি সেই একই ‘#TwoTeirKeir’, যিনি নিজেই ২০২১ সালের বিক্ষোভের পুলিশিং সম্পর্কে নিন্দা জানিয়েছিলেন?”
“কত বড় ভণ্ড!”
মাস্ক আরও বলেন, স্টারমার ‘নিজের শহরেই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমতা দেখাতে ভয় পেয়েছেন’। এ ছাড়া, তাকে ‘কাপুরুষ’ বলেও আখ্যা দেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক।
এর আগে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির আরেক ঘটনা নিয়ে নিন্দা জানিয়েছিলেন মাস্ক, যেখানে এক দশকের বেশি সময় আগে নিজের পোস্ট করা কয়েকটি আপত্তিকর টুইট নিয়ে গেল বৃহস্পতিবার ক্ষমা চান লেবার পার্টির সদ্য নির্বাচিত এমপি লরেন এডওয়ার্ডস।
তিনি বলেন, তার ‘বিবেচনায় বড় ভুল’ ছিল, যা নিয়ে তিনি ‘গভীরভাবে অনুতপ্ত’। তবে তিনি কোন পোস্টগুলোর কথা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা সরাসরি উল্লেখ করেননি।
এর পর থেকেই তার মুছে ফেলা বিভিন্ন টুইটের স্ক্রিনশট অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে, তবে সেগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।