সোমবার ইউক্রেনের একাধিক শহরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে অবকাঠামোগত স্থাপনাগুলো ছিল।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী টেলিগ্রামে পোস্ট করে যে কয়েক ধাপে চালানো হামলাগুলোতে “৫০টিরও বেশি” ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিশকো বলেন যে, রাজধানীতে চালানো হামলায় শহরটির কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দফতরের সহকারি প্রধান, কিরিলো টিমোশেঙ্কো বলেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো “ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে বৈদ্যুতিক স্থাপনাগুলোকে” লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবা বলেন, আক্রমণগুলোকে “‘প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে আখ্যায়িত করে” সেগুলো যুক্তিসঙ্গত বানানো উচিৎ নয়। এর মাধ্যমে তিনি আপাতদৃষ্টিতে রাশিয়ার এমন দাবির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, যাতে রাশিয়া বলেছে যে ক্রাইমিয়ার উপকূলে অবস্থিত রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর নৌবহরে ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে।
রুশ নৌবহরে হামলার কথা ইউক্রেন নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। শনিবার রাশিয়া জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন শস্য উদ্যোগটিতে তাদের অংশগ্রহণ স্থগিত করার কারণ হিসেবে ঐ হামলার কথা বলে। তিন সপ্তাহ আগে, ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার সাথে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ এক সেতুতে বোমা বিস্ফোরণের পর, ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়া ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল।
কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে শস্যের চালান অব্যাহত রাখতে সোমবার ইউক্রেন, তুরস্ক ও জাতিসংঘ প্রচেষ্টা চালায়।
কৃষ্ণ সাগর শস্য উদ্যোগটির জাতিসংঘের সমন্বয়ক, আমির আবদুল্লা সোমবার টুইটারে বলেন, “বেসামরিক পণ্যবাহী জাহাজ কখনোই সামরিক লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না বা সেগুলোকে জিম্মি করা যাবে না। খাদ্য সরবরাহ চলতেই হবে।”
জাতিসংঘ বলে যে, নৌপথের মানবিক করিডোরটি ধরে ১৬টি জাহাজের যাতায়াতের পরিকল্পনা বিষয়ে একটি যৌথ সমঝোতা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি এমন জাহাজ রয়েছে যেগুলো ইউক্রেনের বন্দর থেকে ছেড়ে ইস্তাম্বুলের কাছের এক পরিদর্শন এলাকা অভিমুখে যাত্রা করছে।
রবিবারের এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেন ছেড়ে আসা ৪০টি জাহাজ পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে তুরস্ক ও জাতিসংঘ পরিদর্শন দলের ব্যবস্থা করবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সোমবার বলেন যে, রাশিয়ার দ্বিধা সত্ত্বেও শস্য রফতানি কার্যক্রমটি চালিয়ে যেতে তার সরকার সংকল্পবদ্ধ।