মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ ‘ভীতিকরভাবে’ বৃদ্ধি পেয়েছে বলছে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের উদ্যোগ আইআইএমএম এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। তারা জানিয়েছে, সামরিক সরকারের অধীনে নির্যাতন, ধর্ষণ এবং শিশুদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বেড়ে গেছে। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর চলমান সংঘাতের তীব্রতায় গত ছয় মাসে তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের আইআইএমএম-এর প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান বলেন, 'মিয়ানমারজুড়ে ভয়াবহ বর্বরতা এবং অমানবিকতার প্রমাণ আমরা সংগ্রহ করেছি।'
বার্ষিক প্রতিবেদনে আইআইএমএম জানায়, গত এক বছরে মিয়ানমারের সংঘাত ‘বহুল পরিমাণে’ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা ব্যাপক ও নির্মম অপরাধের খবর পেয়েছে।
জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা স্কুল, ধর্মীয় স্থাপনা এবং হাসপাতালগুলোতে আক্রমণ, শিরশ্ছেদ এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া বিকৃত লাশের প্রমাণ পেয়েছেন।
তদন্তকারীরা সেনাবাহিনীর বিরোধীদের অবৈধ আটক ও নির্যাতনের প্রমাণও সংগ্রহ করেছেন। প্রতিবেদনে বৈদ্যুতিক শক, আঙ্গুলের নখ টেনে তোলা, এবং আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো বিভিন্ন নির্যাতনের পদ্ধতির বর্ণনা রয়েছে।
আইআইএমএম জানিয়েছে, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ সব বয়সী এবং লিঙ্গের মানুষের বিরুদ্ধে ঘটছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসে এবং অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। এরপর থেকে সেনা সরকার গণতন্ত্রপন্থি ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানান, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত অপরাধেরও প্রমাণ রয়েছে।