ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ড্রোন এবং রকেট হামলা ও বন্দুকযুদ্ধের ফলে কয়েকজনের মৃত্যুর পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্যের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং তার মন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক করেছেন, যা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে। বৈঠকে তিনি রাজ্যের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বৈঠকে রাজ্যপালের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিফায়েড কমান্ড অথরিটির আবেদন জানান। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান।
মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে চাইছেন। গত বছরের মে মাসে মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতে সম্প্রদায় এবং কুকি-জো উপজাতিদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। ফলে দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।
সম্প্রতি, ড্রোন এবং রকেট ব্যবহার করে হামলার কারণে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্বিগ্ন। ১ সেপ্টেম্বর মণিপুরে প্রথম ড্রোন হামলা হয়, যেখানে ইম্ফল পশ্চিম জেলার কৌত্রুক গ্রামের কাছে ড্রোন থেকে বোমা ফেলা হয়। পরের দিন সেনজাম চিরাং এলাকায় আবারও ড্রোন হামলা হয়।
এদিকে, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় মণিপুরের জিরিবাম জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এই সময়ে পাঁচজনের বেশি মানুষ একসঙ্গে জমায়েত হতে পারবেন না। শনিবার জিরিবামে হামলা-পাল্টা হামলায় ছয়জন নিহত হন। সন্ত্রাসীরা ঘুমন্ত অবস্থায় একজনকে হত্যা করলে সেখানে ব্যাপক গোলাগুলি হয়, যার ফলে চারজন মারা যান।