লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর প্রেসিডেন্ট থাকাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ব্যাপক সমালোচনার পর দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন আলবার্তো ফুজিমোরি। পরে তাকে গ্রেফতার করে দেশে প্রত্যর্পণ করা হয়। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২৫ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত হয়ে ১৬ বছর জেলা খাটার পর বুধবার মারা গেছেন ফুজিমোরি।
১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পেরুর ক্ষমতায় ছিলেন ফুজিমোরি। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বামপন্থি গেরিলা বিদ্রোহ দমনে ফুজিমোরির কঠোর অবস্থানের কারণে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। তার শাসনামলে পেরুর তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে বামপন্থি শাইনিং পাথ ও তুপাক আমারু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর রক্তক্ষয়ী দমনপীড়ন চালানো হয়।
২০০০ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পেরুতে প্রত্যর্পণ করা হয়।এরপর তিনি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
১৯৯১ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত শাইনিং পাথ গেরিলাদের দমন করতে গিয়ে পেরুর সেনাবাহিনীর হাতে এক শিশুসহ ২৫ জনকে হত্যার ঘটনায় বিচার শুরু হয় ফুজিমোরির। ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিচার কার্যক্রম চলে। ওই বছরে আদালত সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেন।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন ফুজিমোরি। টানা ১৬ বছর কারাগারে কাটানোর পর গত ডিসেম্বরে মানবিক বিবেচনায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ৮৬ বছর বয়সে রাজধানী লিমায় নিজ বাড়িতেই মারা যান ফুজিমোরি।