ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন মিসিংপার্সন (আইসিএমপি)-এর একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।
১৯৯০ দশকের বলকান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত, দ্য হেগ-ভিত্তিক এই সংস্থাটি, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান এবং তালিকা তৈরিতে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য জুলাই মাসে কিয়েভে একটি দপ্তর খুলেছে।
ইউরোপের দায়িত্বে নিয়োজিত আইসিএমপি-র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ম্যাথিউ হলিডে বলেছেন, এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে কতজনকে জোরপূর্বক স্থানান্তর করা হয়েছে, কয় জনকে রাশিয়ায় আটকে রাখা হয়েছে, কতজন জীবিত রয়েছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বা মারা গিয়েছে; আর কতজনকে গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে।
হলিডে রয়টার্সকে বলেছেন, ইউক্রেনে নিখোঁজদের বিষয়ে তদন্তের প্রক্রিয়া কয়েক বছর ধরে চলবে, এমন কি তা যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও চলতে থাকবে। শুধুমাত্র বন্দর শহর মারিউপোলের কথা বিবেচনা করলেই ১৫ হাজার নিখোঁজ হওয়ার এর সংখাটি কম বলেই মনে হয়। কর্তৃপক্ষে অনুমান, প্রায় ২৫ হাজার মানুষ হয় মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।
হলিডে বলেছেন, “সংখ্যাটি বিশাল এবং চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তাও ব্যাপক। এছাড়া তারা লড়ছে রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের শহরগুলোকে হিমশীতল অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। এর পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বেসামরিক অবকাঠামোতে বিমান হামলার জন্য জাতিসংঘের কাছে রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার দাবি করেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ঐ বক্তব্যের পর, হলিডে এ কথা বলেন।
একটি ডেটাবেজে ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করে এবং আত্মীয়দের সাথে মিল খোঁজার মাধ্যমে, আইসিএমপি প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ায় সংঘাতের সময় নিখোঁজ হওয়া ৪০ হাজার ব্যক্তির মধ্যে ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করেছিল।
কিয়েভে আইসিএমপি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। আর, বহু বছর ধরে কাজ করার লক্ষ্যে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করছে। তাদের এই উদ্যোগ, যুদ্ধাপরাধের মামলা বিন্যস্ত করতে আইনজীবীদেরকেও সহায়তা করবে।