অন্য পক্ষগুলো চাইলে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইরান পরমাণু আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে সই করা পরমাণু সমঝোতা থেকে ২০১৮ সালে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনাও থমকে গেছে। যদিও ইরান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির অংশ।
আব্বাস আরাকচি বলেন, আমি প্রেসিডেন্টের চেয়ে কিছু দিন বেশি নিউইয়র্কে থাকব। বিভিন্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আরও বৈঠক করব। আমরা পরমাণু সমঝোতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর দিকে মনোনিবেশ করব।
যদিও তিনি বলেন, এই আলোচনা পুনরায় শুরু করা আগের চেয়ে আরও জটিল এবং কঠিন করে তুলেছে বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি।
আরাকচি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না বলেও জানিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের সময় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্নবীকরণের পর থেকে তেহরান ওয়াশিংটনের সাথে সরাসরি আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছে এবং প্রধানত ইউরোপীয় বা আরব মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে কাজ করেছে।
ইরানের নেতারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিল দেখতে চান, যা দেশটির অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে তেহরানের সমর্থন বাড়ায় পশ্চিমাদের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন বলছে, ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত নয় যুক্তরাষ্ট্র।