লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০৫ জন নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট
  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:১৯

পশ্চিম ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় কমপক্ষে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ও একজন বন্দর কর্মী রয়েছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর (রোববার) এ হামলা চালানো হয়। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১০৫ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
ইয়েমেনে হামলার তথ্য স্বীকার করে ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনা বাহিনী। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, রোববার ইয়েমেনের রাস ইসা ও হোদেইদা সমুদ্রবন্দর ও সেখানের কয়েকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই হামলার কারণে হোদেইদার বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী বৈরুতের কোলা এলাকায় হামলা ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাটিতে ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে দেশটিতে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
রোববার হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। রাজধানী বৈরুত, বেকা উপত্যকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর রকেট উৎক্ষেপণব্যবস্থা ও গোলাবারুদের সংরক্ষণাগার ধ্বংস করা। এতে নতুন করে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ পর্যায়ের আরেক নেতা নাবিল কাওউক নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইসরায়েলের। এদিকে জানা গেছে, লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে সীমান্তে সামরিক উপস্থিতিও বাড়াচ্ছে ইসরায়েল।
পাল্টা হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহও। ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্যমতে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তিবেরিয়াস অঞ্চলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উন্মুক্ত স্থানে পড়েছে বলে দাবি তাদের। প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েল হামলা চালালে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলে হামলা শুরু করে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটি। তবে ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহর পেজার ও ওয়াকি–টকিতে হামলার মাধ্যমে লেবাননে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল।