কিউবার রাজপথে ফিলিস্তিনপন্থি মিছিল, নেতৃত্ব দিলেন প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৫৭

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হামলার পরিপ্রক্ষিতে বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। এর মধ্যেই ক্যারিবিয়ান দেশ কিউবাতে ফিলিস্তিনপন্থি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। হাজারও মানুষের এই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে নিজেদের সংহতি প্রকাশ ও ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানাতে প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল নেতৃত্বে এই মিছিল করা হয়। তার সঙ্গে দ্বীপ রাষ্ট্রটির অন্যান্য নেতারাও হাজার হাজার কিউবান নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে রাজধানী হাভানায় মিছিল করেছেন। মিছিলে মিগুয়েল ও তার সহযোগীরা ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ ‘কেফিয়াহ’ পরেছিলেন।
কিউবায় বসবাসরত প্রায় ২৫০ ফিলিস্তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীও এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। মিছিলে বিক্ষোভকারীরা একটি বড় ব্যানার বহন করেন যাতে লেখা ছিল, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক’।
মিছিলে অংশ নেওয়া মিশেল মারিনো নামে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা এখানে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য দাবি, তাদের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।
কিউবাতে অধ্যয়নরত আরেক ফিলিস্তিনি ছাত্র মোহাম্মদ সুওয়ান জনতার উদ্দেশে বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে বিশ্ব ‘পঙ্গু’ হয়ে গেছে। বিশ্ব মোড়লরাও এই ট্র্যাজেডি বন্ধ করতে ব্যর্থ।
আল জাজিরা বলছে, ফিলিস্তিনপন্থি এই বিক্ষোভ মিছিলটি গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের বার্ষিকীতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হ্যারিকেন মিল্টনের কারণে সেসময় মিছিলটি স্থগিত করা হয়েছিল। মহাশক্তিশালী ওই সামুদ্রিক ঝড় গত সপ্তাহে কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার ৩০০ জন লোক নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া ৯৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।