গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে আরও ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পুরো গাজাজুড়েই আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক হামলার কারণে প্রায় ৪ লাখ ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হওয়ার পর সংস্থাটির প্রধান জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স বলেছেন, দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা আগের মতোই অবস্থান করবেন।
লেবাননের উত্তরাঞ্চলে আইতো গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮ জন।
লেবাননে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থলপথে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তার মধ্যেই এবার দক্ষিণ লেবাননের ২৫টি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দখলদার দেশটি।
এসব শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে উত্তর দিকে চলে যেতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলার মধ্যেই সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ২৫টি শহরের বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যাওয়ার আদেশ জারি করে। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই এই আদেশ দেন।
খালি করতে বলা শহরের তালিকার মধ্যে রয়েছে- বোরঘোলিয়েহ, কাসমিয়েহ, নবী কাসিম, আল-মাতারিয়াহ, খারায়েব, মাজরাত কাউথারিয়েত এল রেজ, আনসার, বাবলিয়াহ, দেইর তাকলা, আদলউন এবং আনসারিয়েহ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার নামে লেবাননজুড়ে বিশাল বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৪৮৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪ হাজার ২৯৭ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
অপরদিকে এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪২ হাজার ২৮৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৮ হাজার ৬৮৪ জন।