গাজায় যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ইন্দোনেশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২২ অক্টোবর ২০২৪, ২১:০৮

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হামলার নিন্দা জানিয়ে গাজার যুদ্ধ কোনো রকম বিলম্ব না করেই শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর গাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলা পরিষ্কারভাবে আন্তর্জাতিক আইন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে আগ্রাসন থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে দখলদার বাহিনী হামলা চালায়নি। গাজার স্কুল, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, মসজিদ সবকিছুই যেন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৪৮৭ জন।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি আটকে পড়া ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য উত্তর গাজায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের অনুরোধ জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লাজারিনি বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ-এর কর্মীরা যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় খাদ্য, পানি ও ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না।
তিনি বলেন, সব জায়গায় লাশের গন্ধ। রাস্তায় অথবা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়ে আছে মরদেহ। এসব মরদেহ সরাতে অথবা মানবিক সহায়তার কার্যক্রমও পরিচালনা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
লাজারিনি কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানান। বিশেষ করে আশ্রয় প্রার্থীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৭১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও এক লাখ ২৮২ জন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।