ইরানে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র বলেছেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের এই হামলার ব্যাপারে অবগত ছিল, তবে এতে নিজেরা অংশ নেয়নি। এটিকে ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছে ওয়াশিংটন।
এছাড়া, এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে পেন্টাগন। এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে হামলা সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করেন।
পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত সংগঠনগুলো থেকে আসা যেকোনো হুমকির মুখে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব কর্মী, ইসরায়েল ও আঞ্চলিক অংশীদারদের নিরাপত্তায় উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ইরানকে ইসরায়েলি হামলা প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তারা পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরান যদি আবারও জবাব দিতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত থাকবো এবং ইরানকে আবারও পরিণতি ভোগ করতে হবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য বলছে, ইরানের ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়া ‘উচিত হবে না’।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ইরানের ‘উচিত নয়’ ইসরায়েলি হামলার জবাব দেওয়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্টারমার বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলছি, ‘ইরানি আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। একইভাবে, আমাদের আরও আঞ্চলিক উত্তেজনা এড়াতে হবে এবং সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানাতে হবে। ইরানের প্রতিক্রিয়া দেখানো ‘উচিত নয়’।
এর আগে, শনিবার ভোরে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে দুজন ইরানি সেনা নিহত হন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের প্রায় ২০টি স্থাপনায় হামলা চালায়। এগুলোর মধ্যে ইলাম, খুজেস্তান ও তেহরানের সামরিক ঘাঁটিগুলো উল্লেখযোগ্য। ইরানি সামরিক বাহিনী হামলাটি সামরিক স্থাপনায় চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। তবে এতে সীমিত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।