ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে শনিবার ভোরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা ও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই হামলা চালায়।
ইরান জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তবে ইসরায়েলি এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। রোববার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সামরিক স্থাপনায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের মারাত্মক বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি প্রভাবিত হয়নি বলে শনিবার জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতি হয়নি। এসময় তিনি পরমাণু এবং অন্যান্য তেজস্ক্রিয় পদার্থের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
এর আগে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ জানায়, তারা ইরানের ‘সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে। ‘কয়েক মাস ধরে ইরানের ধারাবাহিক হামলার’ জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউস বলছে ‘আত্মরক্ষার’ অংশ হিসেবে ইরানে এই হামলা করেছে ইসরায়েল।
আর ইরানের এয়া ডিফেন্স ফোর্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তারা বলেছে, এসব হামলাকে সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করা হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় “সীমিত ক্ষতি” হয়েছে।
অন্যদিকে আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত স্থাপনায় তারা হামলা করেছে। দেশটি বলেছে, হামলা শেষে তাদের বিমানগুলো নিরাপদে দেশে ফিরেছে।
এছাড়া ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রক্রিয়াসহ ইরানের আকাশ সক্ষমতাকে টার্গেট করে হামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।