পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ বন্ধ করে তবেই নিঃশ্বাস নেবো বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ৬ কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হবে। তার আগ দিয়ে এমন মন্তব্য করলেন তিনি।
রোববার (২৭ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের সমন্বিত চেক পোষ্ট, অত্যাধুনিক যাত্রী টার্মিনাল ভবন ও মৈত্রী দ্বারের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আজ স্থলবন্দরের সমন্বিত চেক পোষ্ট, অত্যাধুনিক যাত্রী টার্মিনাল ভবন ও মৈত্রী দ্বারের উদ্বোধন করা হলো। ভারতীয় ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি দেশের উন্নয়ন ও আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও বলেন, আমি শান্তনু ঠাকুরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কত লোক যাতায়াত করে। তিনি আমাকে জানান, প্রত্যেক দিন প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার লোক চিকিৎসা করাতে কল্যাণী (এআইআইএমএস) আসে। এর ফলে আমাদের এই স্থানের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়।
এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অনুপ্রবেশ নিয়ে বলেন, এখানকার শান্তি স্থাপনের জন্য এদের অনেক বড় ভুমিকা থাকে। যখন বৈধ উপায়ে কেউ এখানে আসতে পারে না, তখন তারা অবৈধ উপায়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। আর যখন অবৈধ উপায়ে প্রবেশের রাস্তায তৈরি হয়, তখন বাংলার তথা ভারতের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটায়। ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ বন্ধ করে তবেই নিঃশ্বাস নেবো। আর শান্তি বাংলায় তখনই আসবে যখন এই অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে।
আন্তর্জাতিক সীমান্তে বসবাসকারী জনগণদের উদ্দেশ্যে অমিত শাহ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের, ভুটান-ভারত, নেপাল-ভারত, মায়ানমার-ভারত এই সব সীমান্তে বসবাসকারী জনগণদের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বাড়বে। এর ফলে এক নতুন পার্টনারশিপের যুগ তৈরি হবে। এছাড়া দেশগুলোর সঙ্গে অগ্রগতি এবং উন্নতি হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এই ল্যান্ড পোর্ট আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা তৈরির কাজ করছে। বৈধ ব্যবসা বাড়ানো আর অবৈধ ব্যবসা আটকানোর কাজ করছে। আমি বিশ্বাস করি, এই স্থলবন্দরের সমন্বিত চেক পোষ্ট, টার্মিনাল ও মৈত্রিদ্বার চালু হওয়ার ফলে ভারতের মেডিকেল, শিক্ষাক্ষেত্র ও পর্যটনখাতে উন্নতি হবে।
এরপরই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে অমিত শাহ বলেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৭ লাখ ৭৪ হাজার কোটি রুপি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে উন্নয়নখাতে যেসব অর্থ দেওয়া হয়, তার সবটাই দুর্নীতিতে শেষ হয়ে যায়।