বৃষ্টি এ ম্যাচে দারুন বাগড়া দিয়েছে। প্রতিদিনই বৃষ্টির কারণে একটা না একটা সেশন বিঘ্নিত হয়েছে। বেশ খানিকটা সময় খেলা হয়নি। প্রথম তিনদিন ২৭০ ওভারের পরিবর্তে খেলা হয়েছে ২০৯.৫ ওভার। বৃষ্টিতে নির্ধারিত ওভারের চেয়ে অনেক কম খেলা হওয়া আর ব্যাটারদের প্রভাবে প্রথম তিনদিন শেষে দু’দলের এক ইনিংসও শেষ হয়নি।
তখনই বোঝা যাচ্ছিল এ ম্যাচে ফল নিষ্পত্তি সম্ভব হবে না। ম্যাচ অনিবার্য ড্র‘র মুখে। বাস্তবে হয়েছেও তাই। বাংলাদেশ ‘এ’ আর নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচটি নিষ্প্রাণ ড্র হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে তোলা ৩৫৭ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল থেমেছে ৩৭৯ রানে।
২২ রানে লিড নেয়াই শুধু নয়। আগের তিনদিনের তুলনায় আজ শনিবার শেষদিন সকাল থেকেই শেরে বাংলার উইকেটে খানিক টার্ন চোখে পড়ে। আর তাতেই আগের দিনগুলোয় উইকেটশূন্য থাকা বাংলাদেশের স্পিনাররা একটু জেঁকে বসেন। অফস্পিনার নাইম হাসান এদিন চারটি উইকেটের পতন ঘটান।
এছাড়া বাঁ-হাতি হাসান মুরাদের ঝুলিতেও অবশেষে এক উইকেট জমা পড়ে। অপর বাঁ-হাতি অর্থোডক্স নাসুম আহমেদ শেষ পর্যন্ত ২৭ ওভার বলও করেও ৮১ রান দিয়ে উইকেট পাননি।
কিন্তু এর মধ্যেও কিউই ব্যাটাররা দুটি বিষয় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। তাহলো, আগের দিন ৮৩ রানে নটআউট নিক ক্যালি ঠিক কাঙ্খিত শতরান (১০৩) পূর্ণ করে তারপর আউট হয়েছেন। আর ৪৪ রানে অপরাজিত ম্যাথিউ বোয়েল ঠিক হাফ সেঞ্চুরি (৫৮) পূর্ণ করেছেন।
এই যে লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি যেমনই থাকুক না কেন, অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রাণপন চেষ্টা, সেটাই আসলে পার্থক্য।
আজ খেলার শেষ দিন। অথচ এক ইনিংসও শেষ হয়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই শনিবার একটু হাত খুলে খেলার তাড়া ছিল কিউইদের। আবার উইকেটে বলও ঘুরেছে। কিন্তু আগের দিনের ২ অপরাজিত ব্যাটার ঠিক নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করে তবে আউট হয়েছেন।
তাতে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল লিড পেয়েছে। বৃষ্টির কারণে অবশ্য আজও অর্ধেকের বেশি ৫৮ ওভার খেলা হয়নি। এর মধ্যে অবশ্য ফল নিষ্পত্তির সম্ভাবনা নাই দেখে শেষ বিকেলে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে ম্যাচের ইতি টানেন আম্পায়াররা।
প্রথমবার ৩৫৭ রানে সব উইকেট হারানো নুরুল হাসান সোহানের দল দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে করে ২ উইকেটে ৮৭। আউট হয়েছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয় ২৪ রানে (২৩ বলে) আর সাইফ হাসান (৩০ বলে ১৬)। প্রথম ইনিংসে ৬৭ করা অমিত হাসান ৩৬ বলে ২১ আর জাকির হাসান ৫৫ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।