বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট বিক্রি করতে লেজেগোবরে অবস্থা বাফুফের। শনিবার রাত ৮টায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু করে দর্শকদের ভোগান্তিতে ফেলেছে টিকিফাই নামের টিকিট বিক্রির স্বত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানটি।
বাফুফে আগেই সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। শুরুতে হোঁচট খেয়েছে বাফুফে। ঘোষিত সময়ে টিকিট বিক্রি শুরু হবে না- এক ঘণ্টা আগে এমন খবর গণমাধ্যমে জানিয়ে দেয় বাফুফে।
তাতেও লাভ হয়নি। রাত ৮টা লাখ লাখ দর্শক টিকিট কিনতে টিকিফাইয়ের ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায় বাফুফে থেকে বলা হয় টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। একবার না দুবার। তারপর থেকেই অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ।
সোমবার সকালে পল্টনে কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল উদ্বোধন করতে এসে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট নিয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি বলেন, ‘বাফুফে সব সময় ইনোভেটিভ কাজ করে। আমরা স্বীকার করে নিয়েছি, প্রথমবার বলে ভুল-ত্রুটি হতে পারে। এটা স্বীকার করে নিয়েছি। সাইবার আক্রমণ হয়েছে। এজন্য সার্ভার ডাউন ছিল। টিকিট সংগ্রহ পর্যায় থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ পর্যন্ত আমরা নজরদারি রাখবো। আমরা আশাবাদী আজ (সোমবার) রাত ১০টার মধ্যে আবার সাইট ও প্ল্যাটফর্ম অন হবে। সেটা সীমিত পরিসর হলেও।’
বাফুফে সভাপতি যোগ করেন, ‘গ্যালারির টিকিট ১৮ হাজার। এর বাইরে হাজার দুয়েক। দুভার্গ্যজনক হলেও বাস্তবতা যে, অনেক সমর্থককে সীমিত আসনের জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে থাকতে হবে। তাদের জন্য আমরা বাইরে ব্যবস্থা করবো। বাফুফের পক্ষ থেকে আটটি বিভাগীয় শহরে ফ্যানজোন করা হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও করছেন।
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ ঘিরে দর্শক আগ্রহ তুঙ্গে। নতুনভাবে সেজে ওঠা ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরছে ৫৫ মাস পর।
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ম্যাচটি বহুল আলোচিত। ইংল্যান্ডের হামজা চৌধুরী ও কানাডা প্রবাসী শামিত সোমের সঙ্গে ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুলেরও খেলার সম্ভাবনা আছে। তাই সিঙ্গাপুরের ম্যাচের টিকিট নিয়ে দর্শক আগ্রহ আকাশচুম্বী।
টিকিট নিয়ে দর্শকদের এমন আগ্রহে পানি ঢেলে দিয়েছে বিক্রির স্বত্ব পাওয়া টিকিফাই। ওয়েবসাইটে ঢুকতে গেলে এসছে '503 Service Temporarily Unavailable' লেখা। আবার কখনো ভেসে উঠেছে 'সোল্ড আউট' লেখা। আগ্রহ নিয়ে টিকিট কিনতে বসা দর্শকরা হতাশ হয়ে নিজেরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অনেকে মূল্য পরিশোধ করেও টিকিট পাননি-এমন অভিযোগও করছেন। সংবাদ সম্মেলনে টিকিফাই এর কর্মকর্তারা বলেছিলেন, একসঙ্গে ১০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী সাইটে প্রবেশ করতে পারবে। বাস্তবে দেখা গেছে উল্টো।