রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে প্রায় তিন মাস পর্যটকের খরা ছিল কক্সবাজারে। সমুদ্র সৈকতও অনেকটা ফাঁকা ছিল।
সেই খরা কাটিয়ে চলতি মাসে পর্যটকে মুখর কক্সবাজার। ছুটির দিনগুলোতে হোটেল-মোটেলে ভিড় বেড়েছে।
এদিকে পর্যটকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে পাঁচ দিন বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই বিশেষ ট্রেন মঙ্গলবার রাত ১১টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে, যা পরের দিন বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছাবে। একইভাবে ট্রেনটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ৬ মার্চ কক্সবাজার থেকে ছাড়বে এবং ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৪টায়।
এছাড়া বিশেষ আরেকটি ট্রেন আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় কক্সবাজার থেকে ছাড়বে এবং চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানীর দেওয়া তথ্য মতে, বিশেষ ট্রেনটিতে ১৪টি কোচ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০টি শোভন চেয়ার এবং ২২০টি এসি চেয়ার। টিকিটের মূল্য ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেসের’ মতো।
‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ঢাকা-কক্সবাজার এসি (স্নিগ্ধা) ভাড়া এক হাজার ৩২৫ টাকা এবং নন-এসি (শোভন চেয়ার) ভাড়া ৬৯৫ টাকা। একই ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া (এসি) ৪৭০ টাকা এবং (নন-এসি) ২৫০ টাকা।
এদিকে এই রুটে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য একটি কমিউটার ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ মাসের শুরুতে এই ট্রেনটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও ইঞ্জিন সংকটের কারণে পিছিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১১ নভেম্বর নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেন। এরপর ১ ডিসেম্বর থেকে বিরতিহীন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ চলাচলের মধ্যে দিয়ে এই রুটে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করা হয়। পরে ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ চালু হয়। এ পর্যন্ত এই ট্রেন দুটিই যাত্রী পরিবহন করে আসছিল।