যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রির সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো বাড়াচ্ছেন। ১৭ জুন (মঙ্গলবার) হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তিনি একটি নতুন নির্বাহী আদেশে ১৯ জুনের সময়সীমা ৯০ দিন পিছিয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে নতুন সময়সীমা গিয়ে দাঁড়াবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে।
গত বছর কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় আইন পাস হয়। এ আইন অনুসারে, জনপ্রিয় স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও অ্যাপ টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালনা করতে হলে এর মার্কিন সম্পদ বিক্রি করতে হবে। এই আইন চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও সেই নিষেধাজ্ঞা এখনো কার্যকর হয়নি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেছিল টিকটক। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট মঙ্গলবার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ সপ্তাহে একটি অতিরিক্ত নির্বাহী আদেশে সই করবেন, যার মাধ্যমে টিকটক চালু থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান না টিকটক বন্ধ হয়ে যাক।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আমরা নিশ্চিত করব যাতে বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা টিকটক ব্যবহার করতে পারে নিশ্চিত নিরাপত্তার সঙ্গে।’
গত মে মাসে ট্রাম্প বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের মধ্যে টিকটকের ভূমিকার কারণে তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত নিষিদ্ধের সময়সীমা বাড়াবেন। দ্বিদলীয় আইনে বলা হয়েছিল, ১৯ জানুয়ারির মধ্যে যদি বাইটড্যান্স তাদের মার্কিন সম্পদ বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে বা তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি না দেখাতে পারে, তাহলে টিকটকের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।=
২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প এই আইন কার্যকর করেননি। তিনি প্রথমে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত সময় দেন, এরপর গত মাসে ১৯ জুন পর্যন্ত বাড়ান।
মার্চে ট্রাম্প বলেছিলেন, টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাতে প্রস্তুত।
চলতি বছরের শুরুর দিকে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম নিয়ে একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল, টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র অংশ নতুন একটি মার্কিন কোম্পানিতে রূপান্তর হবে, যেটি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের মালিকানায় ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর বেশি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর চীন সেই চুক্তিতে অনুমোদন দেয়নি। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি স্থগিত হয়। এদিকে ডেমোক্র্যাট সিনেটররা বলছেন, ট্রাম্পের এই সময়সীমা বাড়ানোর কোনো আইনি অধিকার নেই। তাদের মতে, যে চুক্তির কথা বিবেচনা করা হচ্ছে, তা আইনি শর্ত পূরণ করে না।