ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক নীতির সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র সদর দপ্তর পেন্টাগন একজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়ছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে পেন্টাগন।
অপসারিত এই সেনা কর্মকর্তার নাম কর্নেল নাথান ম্যাক্করম্যাক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের জে৫ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ডিরেক্টরটের লেভান্ত (ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল) ও মিশর শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা জেএনএসকে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় তিনি আর জয়েন্ট স্টাফ থাকবেন না। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিরক্ষা দপ্তর এসব পোস্টের বিষয়বস্তু ও এর প্রভাবের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করছে।
ম্যাক্করম্যাকের এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্ট নিয়ে ‘জিউইশ নিউজ সিন্ডিকেটের (জেএনএস) এক প্রতিবেদনের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় পেন্টাগন। প্রতিবেদনে বরখাস্ত হওয়া এই কর্মকর্তার একটি ‘আধা-গোপন’ অ্যাকাউন্ট থেকে করা পোস্টের কথা উল্লেখ করা হয়।
পোস্টগুলোতে ম্যাক্করম্যাক ইসরায়েলকে ‘সবচেয়ে খারাপ মিত্র’ বলে বর্ণনা করেন ও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার মিত্রদেরকে ‘জুডিও-সুপ্রিমেসিস্ট’ বা ‘ইহুদি-শ্রেষ্ঠত্ববাদী ঘনিষ্ঠ সহযোগী গোষ্ঠী’ হিসেবে আখ্যা দেন।
পোস্টগুলোর একটিতে আরও বলা হয়, তারা (ইসরায়েল) মূলত ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করতে চায়। এমনকি, ২০২৪ সালের জুনের পর থেকে তিনি ইসরায়েলকে ‘খুনোখুনি প্রিয় দেশ’ বলেও মন্তব্য করতেন।
মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্করম্যাকের পোস্টগুলোতে ইসরায়েলের ‘খারাপ আচরণে’ মদদ দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার পোস্টে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো হলোকাস্টের অপরাধবোধ থেকে ইসরায়েলের সমালোচনা করা থেকে অনেক দূরে থাকে; কিন্তু কয়েক দশক ধরেই ইসরায়েলের কার্যকলাপ জাতিগত নির্মূল ও গণহত্যার অভিযোগ সৃষ্টি করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাৎসি বাহিনীর হাতে বিপুলসংখ্যক ইহুদী নিধনকে হলোকাস্ট বলা হয়।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি