স্টারবাকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্রায়ান নিকোল। তার বাড়ি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায়। তার কোম্পানির সদর দপ্তর ওয়াশিংটনের সিয়াটলে। কিন্তু তিনি বাসা বদলে সিয়াটলে যাবেন না। যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করবেন কোম্পানির জেট। তিনি তিন দিন অফিস করবেন সদর দপ্তরে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় স্টারবাকসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ব্রায়ান নিকোল কোম্পানির হাইব্রিড কাজের নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন সদর দপ্তরে অফিস করবেন। নিকোলকে এই সময় ক্যালিফোর্নিয়ার বাসভবন এবং সিয়াটল অফিসের মধ্যে যোগাযোগের জন্য কোম্পানির জেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। তার বাসভবন থেকে কোম্পানির সদর দপ্তরে যাতায়াতের জন্য (এবং অন্য ব্যবসায়িক ভ্রমণ) তিনি কিছু সুবিধা পাবেন। তার বাসভবন থেকে কোম্পানির দূরত্ব ১০০০ মাইল বা প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার।
৫০ বছর বয়সি নিকোলের কাজের অভিজ্ঞতা প্রশ্নাতীত। দূরদর্শিতাও প্রমাণিত। তাই চিপটোল মেক্সিকান গ্রিলে সিইও থেকে স্টারবাকসে আনা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে সিইও ছিলেন। তার সময়ে চিপটোলের স্টক ভ্যালু অনেকে বেড়েছিল। সেই ব্রায়ানকে বছরে ১৬ লাখ মার্কিন ডলার বেতন দেবে স্টারবাকস। সঙ্গে আছে ক্যাশ বোনাসও। নিকোল চিপটোলে যখন ছিলেন, তখনো বাড়ি আর অফিসের দূরত্বের সমস্যায় পড়েছিলেন। সে সময় নিকোলের কাজে যোগ দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে চিপটোলের সদর দপ্তর কলোরাডো থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আনা হয়েছিল।
মূল্যবৃদ্ধি ও ইসরাইলের হামলায় ফিলিস্তনের নিহত–আহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বয়কটের মুখে পড়ে স্টারবাকস। ফলে কমে যায় বিক্রিবাট্টা। গত মাসে (জুলাই) কোম্পানিটি জানায়, জুন মাসে শেষ হওয়া প্রান্তিকে বিশ্বে বিক্রি কমেছে ৩ শতাংশ। এ জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লক্ষণ নরসিংহকে সরিয়ে দেয় কোম্পানিটি। লক্ষণ চলে যাওয়ার পরে নিয়োগ দেওয়া হয় চিপটোলের সিইও ব্রায়ান নিকোলকে।
ব্রায়ান নিকোল কোম্পানির হাইব্রিড কাজের নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন সদর দপ্তরে অফিস করবেন কোম্পানিটির সাবেক এক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, নিকোল এমন একজন ব্যক্তি, যাকে এই মুহূর্তে স্টারবাকসের প্রয়োজন। এদিকে স্টারবাকসের নতুন সিইও ঘোষণার পর কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বেড়েছে ২০ শতাংশ।