বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে আপনারা সত্যকে সত্য বলবেন ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলবেন, ভালোকে ভালো ও খারাপকে খারাপ বলবেন। আর যদি খারাপকে খারাপ না বলেন, তাহলে কয়েক বছর পরে সেই খারাপ লোকই আপনার গলা চেপে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মের সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো অপশক্তিই তাদের আটকে রাখতে পারবে না।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোলা শহরের বিভিন্ন সড়কে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত সাত দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে এক পথসভায় এসব কথা বলেন সারজিস আলম। দুপুরের দিকে ভোলা বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন ইলিশা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ পথসভার আয়োজন করা হয়।
সারজিস আলম বলেন, সাধারণ মানুষ সবাই ঘোষণাপত্রে প্রথমেই শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখতে চায়। তিনি দেশে গোপালগঞ্জের যে সিন্ডিকেট বসিয়েছেন, তার শেষ করে সমতার একটি সিস্টেম চায় মানুষ।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানে আমরা রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি। যে শব্দগুলো আমরা ধারণ করি বাংলাদেশকে নিয়ে, যে শব্দগুলো আমরা দেখি; সেই শব্দগুলো একটি ঘোষণাপত্রে লিখিত আকারে থাকা প্রায়োজন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সারজিস আলম ভোলায় আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের খোঁজখবর নেন এবং তার কবর জিয়ারত করেন। পরে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত সাত দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেন।
বাংলা স্কুল মোড়, সদর রোড, চক বাজার, নতুন বাজারে হেঁটে হেঁটে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন সারজিস আলম।
পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য আরিফুল রহমান তুহিন, আব্দুল আল মামুন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এম এ নাঈম ও ভোলা সমন্বয়ক ইসরাফিল হোসাইন জাবির।