১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৭ মে ২০২৫, ১৩:৩৫

প্রায় ১০ লাখ গাজাবাসীকে লিবিয়ায় স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবগত পাঁচ কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
পুনর্বাসন পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি অবগত তিন কর্মকর্তা বলেছেন, গাজাবাসীদের স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে মার্কিন প্রশাসন। লিবিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছেও বলে তারা দাবি করেন।
ওই তিন কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের গ্রহণে সম্মত হওয়ার বিনিময়ে লিবিয়ার জব্দকৃত বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এক দশকেরও বেশি সময় আগে লিবিয়ার শত শত কোটি ডলার আটকে দেওয়া হয়।
তবে দুপক্ষের মধ্যে এখনও চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ওই তিন ব্যক্তি। তারা দাবি করেছেন, পুনর্বাসন পরিকল্পনার অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত আছে ইসরায়েল।
এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া, পুরো বিষয়টি বাস্তবায়ন কবে নাগাদ হতে পারে, সে বিষয়েও কোনও আভাস পাওয়া যায়নি প্রশাসনের কাছ থেকে।
এই প্রতিবেদন তৈরির আগে, একাধিকবার অনুরোধ সত্ত্বেও এনবিসির কাছে কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক মার্কিন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, এনবিসির প্রতিবেদনের দাবিগুলো মোটেই সত্য নয়।
তিনি বলেছেন, এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা কার্যকর করার পরিস্থিতি নেই। বাস্তবতা ভিন্ন। এমন অর্থহীন কোনও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় পুনর্বাসনের কোনও পরিকল্পনা নিয়ে তারা অবগত নন।
উল্লেখ্য, গাজা পরিচালনাকারী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসীদল হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে মার্কিন প্রশাসন।
গাজাবাসীদের পুনর্বাসন নিয়ে বক্তব্য দিয়ে এনবিসির অনুরোধে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলি সরকার।
এদিকে, লিবিয়া নিজ দেশের নাগরিকদেরই পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছে না। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দেবেইবাহ এবং পূর্বাঞ্চলে খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত।
ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে দেবেইবাহ সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।