মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে থানা থেকে এজহারভুক্ত আসামি যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় শ্রীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রত্যাহার করে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকারের নির্দেশে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে থানা থেকে ছিনতাই করা আসামি তরিকুলকে রাত সোয়া ৯টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার দেওল ভোগ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এর আগে থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরও ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করে শ্রীনগর থানা পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা তদবির শুরু করেন। পুলিশ তাদের তদবিরে রাজি না হওয়ার একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পরিদর্শকের (অপারেশন) রুম ভাঙচুর করে। প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে পুলিশ বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং তাদেরকে ঘুসি মেরে আসামি নিয়ে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় শ্রীনগর থানার পুলিশের ওসি কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে প্রত্যাহার করে শ্রীনগর থানা থেকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় শ্রীনগর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ৩১ জন এজাহারনামীয়সহ দুই শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় এখন পর্যন্ত তরিকুলসহ চারজন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান রাত ১০টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবারের ঘটনায় শ্রীনগর থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ আমরা ওই ঘটনায় ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মামলায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওসিকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।