‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কোনো সংগঠন অথবা এর কোনো কমিটির অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি। গত ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার কেন্দ্র থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কোনো কমিটি নেই। কেউ নাম ভাঙালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই পত্রে বলা হয়েছে, ‘নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি যে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কোনো কমিটি নেই। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কেউ কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীকে নিজ নিজ স্টেট ও মহানগর কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
এই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের নামে। চিঠির কপি দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল এইচ খান শাহেল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান, গিয়াস আহমেদ এবং মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টনকে।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। গত বছর বাংলাদেশি অধ্যুষিত স্টেট ও সিটিগুলোতে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয়েছে। সে সব কমিটির অনুমোদনও এসেছে হাইকমান্ড থেকে। তবে বিলুপ্ত হওয়া কমিটির কেউ কেউ আগের পদ-পদবি ব্যবহার করে ‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পরিপূরক এসব কর্মসূচি আপাত দৃষ্টিতে ফলদায়ক মনে হলেও স্টেট ও সিটি কমিটিগুলোর নেতারা এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। তাদের অভিযোগ- সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত স্টেট ও সিটি কমিটির ওপর অযথা খবরদারির অভিপ্রায়ে অস্তিত্বহীন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নাম ভাঙানো হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমান্ডের নির্দেশে সর্বশেষ এই চিঠি ইস্যু হলো বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।