প্রধান উপদেষ্টার সুইজারল্যান্ড সফরের সফলতা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:০২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম চারদিনের (২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি) সফর শেষে ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) বিকেলে দেশে ফিরেছেন।
সফরকালে টানা চারদিনই তিনি ভীষণ কর্মব্যস্ততায় কাটান। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক অর্ধশতাধিক বৈঠক করেছেন তিনি।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম টানা প্রায় ৩৭ মিনিট সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের জন্য প্রধান উপদেষ্টার এ সফরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি একটি ঐতিহাসিক অর্জনের সফর ছিল।
তিনি জানান, ২১ জানুয়ারি দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর থেকেই প্রধান উপদেষ্টার কর্মব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৩টা পর্যন্ত একটানা বিভিন্ন মিটিংয়ে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময়ে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা, শীর্ষ নাগরিক ও সেলিব্রেটি সর্বমোট ৪৭টি মিটিং হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূসের সাক্ষাৎকার নিতে ২০/২৫টি বিশ্বের খ্যাতনামা গণমাধ্যম সাক্ষাৎকার গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সময় ও স্থান সংকলনের অভাবে আটটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের জন্য নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার ইচ্ছেতেই সেখানে প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বৈঠকটি করেন।
শফিকুল আলম বলেন, জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নেতৃত্ব দেয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক জার্মানি। বৈঠকে জার্মানির চ্যান্সেলর অন্তর্বর্তী সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশের জন্য সবকিছু করবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল পাঠাবেন। তারা এসে বিজনেস সেক্টরের বিভিন্ন লোকজন এবং পলিসি মেকারদের সঙ্গে কথা বলবেন। এর মাধ্যমে জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক নতুন সম্পর্ক ও দূয়ার উন্মুক্ত হবে। জার্মান চ্যান্সেলর বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে জার্মানির হেমবুর্গে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সভায় যোগ দেওয়ার দাওয়াত দেন।
এছাড়া জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা, অর্থনৈতিক অবস্থা, বিভিন্ন সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
শফিকুল আলম জানান, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ও সুইজারল্যান্ডের একজন মন্ত্রীর সঙ্গে পাচার করা অর্থ নিয়ে আলোচনা হয়। জার্মান, ফিনল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে তিনি জানান।