‘ফৌজদারি মামলা পুনর্মূল্যায়ন কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। একই সঙ্গে ৪০ লাখের অধিক মামলার জট কাটাতে বিচার বিভাগকে উদ্যোগী হতে হবে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ‘বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সংস্কারমূলক অধ্যাদেশের মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া এই দাবি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মামলার জট খোলার লক্ষ্যে প্রত্যেক স্তরে বিচারিক প্রশাসন গঠন, আপিল করার সময়সীমা নির্ধারণ, পরাজিত পক্ষকে খরচের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থাকে বিচারিক সচিবালয়ের অধীনে ইউনিয়ন/উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা জরুরি।
যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও জনগণের কাঙ্ক্ষিত ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রক্রিয়া এখনো বাস্তব রূপ লাভ করেনি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের লক্ষ্যে ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল কমিশন অধ্যাদেশ’ জারি করলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগকে দলীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংসদে আইনটি পাস করেনি। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আমাদের জাতীয় অগ্রগতির একটি অপরিহার্য শর্ত। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ২১ জানুয়ারি ‘বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করেছে। এই অধ্যাদেশ উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করবে বলে প্রত্যাশা।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার ও উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু নিম্ন আদালতে পিপি, এপিপি নিয়োগে কোনো স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নেই। তেমনি আমরা মনে করি নিম্ন আদালতে শুধু বিজিএস পরীক্ষা দিয়েই একজন আইনের ছাত্র বিচারপতি নিয়োগ পেতে পারে না। বিচারক নিয়োগ পেতে কমপক্ষে আইনজীবী হিসেবে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তা না হলে নিম্ন আদালতে নানান সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, আলতাফ হোসাইন, এবি লইয়ার্সের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, আইনজীবী নেতা তারিকুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুল্লাহ আল আরিফ, অ্যাডভকেট আরাফাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুর রব জামিল, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক এনামুল হক, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আমেনা বেগমসহ পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন।