হাইকোর্টে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা

কলাপাড়ায় সাংবাদিককে কুপিয়ে, হাতের রগ-কবজি বিচ্ছিন্ন
ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:২৬

তিন দশক আগে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে ঈশ্বরদী থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আক্তার।   
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত সাংবাদিককে কাকরাইলস্থ ইসলামী ব‍্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  
এসময় বৈশাখী টেলিভিশনের মাইক্রোফোন ভাংচুরসহ মারধর করা হয় আরও কয়েকজন সাংবাদিককে।  
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায় ঘোষণার পর বেলা ১২টার দিকে হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ব্রিফিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকরা। হঠাৎ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের উপস্থিতিতে দলটির শতাধিক নেতাকর্মী হট্টগোল শুরু করেন। এর প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ব্রিফিং বর্জনের পাশাপাশি অ্যানেক্স চত্বরে বসে পড়েন সাংবাদিকরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি জানান সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সাংবাদিকরা।

বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম, হাতের রগ-কবজি বিচ্ছিন্ন
বাংলাভিশন টেলিভিশনের কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরনকে বেধড়ক কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত কুয়াকাটা পৌরসভায় নিজ বাসার সামনে তার ওপর হামলে পড়ে।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে স্বজনসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরণ করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মিরন ঢাকা থেকে রাতে কুয়াকাটায় ফিরেছেন। কুয়াকাটা পৌরসভার তুলাতলী মহাসড়কে নেমে ৫০ গজ দূরে বাসায় যাচ্ছিলেন। বাসায় ঢোকার আগমুহূর্তে তাকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময়ের মিরন ডাক-চিৎকার করে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যসহ আশপাশের লোকজন দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মিরনের এক হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। অন্য হাতের কবজি বরাবর ঝুলিয়ে দেয়। এ ছাড়া কপাল, মাথা, পেট ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য কোপের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সাংবাদিক এবং দলীয় নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেছেন। আসামি শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।